সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতারে উদ্বেগ ও নিন্দা
- আপলোড সময় : ১৬-১২-২০২৫ ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-১২-২০২৫ ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সংগঠনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আসক জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক আনিস আলমগীর সরকারের বিভিন্ন নীতি ও কর্মকা-ের সমালোচনায় সরব ছিলেন এবং টেলিভিশন টক-শোসহ নানা মাধ্যমে ভিন্নমত পোষণ করে নিজের মতামত তুলে ধরতেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই আইনটির উদ্দেশ্য ও পরিধির অপপ্রয়োগের শামিল। সন্ত্রাসী কর্মকা- দমনের জন্য প্রণীত একটি কঠোর আইনকে মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার ওপর প্রয়োগ করা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক নীতির পরিপন্থী এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আরও মনে করে, সরকার বা রাষ্ট্রীয় নীতির সমালোচনা করা কোনো অপরাধ নয়। বরং স্বাধীন ও সমালোচনামূলক সাংবাদিকতা জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য উপাদান। এ ধরনের গ্রেফতার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে এবং ভিন্নমত দমনের একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জোর দিয়ে বলতে চায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মতো কঠোর আইন ব্যবহার করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনও বক্তব্য বা প্রকাশনার ক্ষেত্রে আইনগত প্রশ্ন থাকলে তা অবশ্যই স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত। গ্রেফতারকে যেন ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) অবিলম্বে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে ভিন্নমত ও সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে এ ধরনের আইন অপব্যবহার বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

সুনামকন্ঠ ডেস্ক